ট্রাফিক আইন অমান্যে করে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোয় ফারহানার বিচার দাবি
দেশের ট্রাফিক আইনে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো অবৈধ হলেও সম্প্রতি হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল শোডাউনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরও পুলিশের নিরবতা আইন অমান্যে উৎসাহ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) যাত্রী অধিকার আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য এস এম সজীব সাক্ষরিত গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় কাজ করা এ সংগঠন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল ও যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি এক নারীর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা উঠে এসেছে জাতীয় গণমাধ্যমেও। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফারজানা ইসলাম নামে যশোরের ওই নারী গত ১৩ আগস্ট প্রথা ভেঙে মোটরসাইকেল শোডাউন করে নিজের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতারা বলেন, আমরা নারীর স্বাধীনতা ও অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী। আমরা চাই সমাজের নারী পুরুষ উভয়ে সমান গতিতে এগিয়ে যাক। এবং এ ঘটনাকে নারীর অগ্রযাত্রার মাইলফলক বলেও আমরা মনে করি। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোডাউনে অংশ নেয়া কারো মাথায় হেলমেট না থাকার বিষয়টি আমাদের আতঙ্কিত করেছে।
নেতারা মনে করছে, ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিও এবং স্থিরচিত্র যারা দেখছেন তারা ট্রাফিক আইন অমান্যে উৎসাহিত হচ্ছেন। এ ছবিতে দেশে যে ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়ন নেই সে চিত্র ফুটে উঠেছে। নেতারা আরও বলেন, শুধু এ গায়ে হলুদের ঘটনা নয়, যাত্রী অধিকার আন্দোলন এর আগেও একাধিকবার রাজনৈতিক সভা সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণায় এমন আইন লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
কিন্তু এসব ঘটনায় ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থা পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। আমরা মনে করছি, পুলিশের এমন নিরবতা ট্রাফিক আইনকে চরমভাবে বিতর্কিত করছে। প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরার জন্য আইনের এমন বাস্তবায়নহীনতাই বিশেষভাবে দায়ী বলে যাত্রী অধিকার আন্দোলন মনে করে।
গণমাধ্যমে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি উঠে না আসার সমালোচনা করে তারা বলেন, গণমাধ্যম জাতির চোখ। গণমাধ্যমে এমন ঘটনার ক্ষতিকর দিক উঠে এলে মানুষ সচেতন হতো, যা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক হতো। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করা শোডাউন ইতিবাচকভাবে প্রকাশ হতে দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।
হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে প্রশাসন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে বলেও বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় কাজ করা সংগঠন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতারা।